🩺 ড. কাদির কলি | জীবনী, অবদান ও সমাজসেবা
ড. কাদির কলি বাংলাদেশের একজন খ্যাতিমান চিকিৎসক, বিজ্ঞানী ও সমাজসেবক। দীর্ঘ ৩০ বছরের চিকিৎসা কর্মজীবনে তিনি শত শত রোগীর জীবন রক্ষা করেছেন এবং গ্রামীণ সমাজে স্বাস্থ্যের মান উন্নয়নে অনন্য ভূমিকা পালন করেছেন।
👶 শৈশব ও প্রাথমিক শিক্ষা
ড. কাদির কলি ১৯৬৫ সালে বরিশালের একটি মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ছোটবেলায় স্বাস্থ্যসেবার অভাব ভিতরে ভয় তৈরি করলেও, তার মধ্যে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর প্রবল ভালোবাসা জন্মায়। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক তিনি বরিশাল জেনারেল স্কুল ও কলেজ থেকে প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হন।
🎓 উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা
ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে অনার্স পরে ডাক্তারি পাস করার পর ড. কলি যুক্তরাষ্ট্রের Johns Hopkins University তে কমিউনিটি মেডিসিনে মাস্টার্স করেন। সেখানে তিনি “গ্রামীণ স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়ন” শীর্ষক গবেষণায় অংশ নিতে পেরে ফেরৎ আসেন। তার পিএইচডি গবেষণায় তিনি প্রমাণ করেন যে, কমপ্যাক্ট ভ্রাম্যমান ক্লিনিক গ্রামীণ অঞ্চলের স্বাস্থ্য সেবায় বিপ্লব আনতে পারে।
🏥 সমাজসেবা ও ক্লিনিক চালু
২০০১ সালে ড. কলি “ক্রীড়া-স্বাস্থ্য ক্লিনিক” নামে একটি ভ্রাম্যমান স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম শুরু করেন। প্রতি সপ্তাহে কমপক্ষে ১০ গ্রামের দারিদ্র্যসীমার নিচে থাকা রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ওষুধ প্রদান করেন। ২০০৫ সালে তিনি “গ্রামীণ স্বাস্থ্য কেন্দ্র” নামে একটি স্থায়ী ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা করেন, যেখানে বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা ফ্রি পরামর্শ ও ল্যাব পরীক্ষা সেবা দেন।
🏆 পুরস্কার ও সম্মাননা
- বাংলাদেশ সরকারের জাতীয় বিজ্ঞান পুরস্কার (২০১০)
- রটারি ইন্টারন্যাশনাল-এর “হিউম্যানিটারিয়ান অব দি ইয়ার” (২০১৫)
- UNICEF-এর ভালোবাসার চিকিৎসক স্বীকৃতি (২০১৮)
🌍 বৈশ্বিক প্রভাব
ড. কাদির কলির ভ্রাম্যমান ক্লিনিক মডেল বর্তমানে নেপাল, মিয়ানমার ও আফ্রিকার দুইটি দেশে অনুকরণ করা হচ্ছে। “গ্রামীণ স্বাস্থ্য কেন্দ্র” প্রোগ্রাম হাজারো স্বেচ্ছাসেবককে অনুপ্রাণিত করেছে—যার ফলে প্রত্যন্ত এলাকায় শিক্ষিত-বেকার তরুণরাও স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিত হচ্ছে।